বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনাকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দেন। খবর এনডিটিভির।
জয়সওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অব্যাহত বৈরিতা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। আমরা এসবের নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা হবে প্রত্যাশা করছি।’ তবে গত কয়েকদিনে ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের মিশন এবং ভিসা সেন্টারগুলোকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার আগেই রাজবাড়ীর পাংশায় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সংঘটিত ‘দুঃখজনক’ হত্যাকাণ্ড কোনও সাম্প্রদায়িক হামলা ছিল না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বার্তায় বলা হয়, ‘এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা এবং চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন।’
এছাড়া সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন, কলকাতায় উপ-দূতাবাস এবং শিলিগুড়িতে ভিসা সেন্টার ঘিরে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও কট্টরপন্থি কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ এবং প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। এসব ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
মিশনগুলোতে ভারত নিরাপত্তা জোরদারের পর পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলসীমান্তগুলোতেও অবস্থান নিয়ে ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য-পর্যায়ের কয়েকজন নেতা। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসব বিষয় পুরোপুরিভাবে এড়িয়ে গেছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..