নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার তুলে ধরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে কিংবদন্তি নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের ঐতিহাসিক উক্তি- ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’র আদলে তিনি ঘোষণা দেন-‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান।’ তবে সেই পরিকল্পনা দলীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়; বরং দেশ ও দেশের মানুষকে কেন্দ্র করেই।
লাল-সবুজে সাজানো একটি বিশেষ বাসে করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন তারেক রহমান। বেলা ৩টা ৫৭ মিনিটে বক্তব্য শুরু করে তিনি প্রথমেই বলেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ।’ এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে যেমন দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তেমনি ২০২৪ সালে সর্বস্তরের মানুষ একত্র হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। তিনি বলেন, আজ মানুষ কথা বলার অধিকার এবং গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়।
নিরাপদ বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, পাহাড় ও সমতল, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-সবাইকে নিয়ে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান, যেখানে নারী, পুরুষ কিংবা শিশু-যে কেউ ঘর থেকে বের হলে নিরাপদে ফিরে যেতে পারেন।
কয়েকদিন আগে শহিদ ওসমান হাদির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওসমান হাদি চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ১৯৭১ ও ২০২৪ সালে শহিদদের রক্তের ঋণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারলেই সেই ঋণ শোধ করা সম্ভব।
তরুণ প্রজন্মের ওপর আস্থা রেখে তারেক রহমান বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে তরুণরাই। গণতান্ত্রিক কাঠামো ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর রাষ্ট্র নির্মাণের ওপর জোর দেন তিনি। বক্তব্যে পরপর তিনবার বলেন, ‘আমরা দেশের শান্তি চাই।’
বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশে মার্টিন লুথার কিংয়ের ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ উক্তি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন,‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান। সেই প্ল্যানটা হলো বাংলাদেশকে নিয়ে, বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে। আমরা এ দেশের মানুষের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।’
তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রত্যেক নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণ একসঙ্গে থাকলে বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বক্তব্যের শেষাংশে তারেক রহমান তার মা, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। শেষে তিনি বলেন,‘সবাই মিলে করব কাজ, গড়বো মোদের বাংলাদেশ।’ গণসংবর্ধনায় অংশ নেয়া সবাইকে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
এ জাতীয় আরো খবর..