ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে অবস্থিত সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে টানা ছয়বার অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আগ্নেয়ছাই পর্বতের শীর্ষ থেকে প্রায় এক হাজার ২০০ মিটার (৩,৯৩৭ ফুট) উঁচু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আন্তারা নিউজের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরে সক্রিয় থাকা এই আগ্নেয়গিরিটি বর্তমানে সতর্কতার তৃতীয় স্তর বা লেভেল–৩ পর্যায়ে রয়েছে।
লুমাজাং ও মালাং জেলার সীমানায় অবস্থিত সেমেরুতে স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪৬ মিনিটে প্রথম অগ্ন্যুৎপাত রেকর্ড করা হয়। লুমাজাংয়ের সেমেরু পর্যবেক্ষণ পোস্টের কর্মকর্তা লিসওয়ান্তো বলেন, অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরির চূড়া থেকে প্রায় এক হাজার ২০০ মিটার উঁচু পর্যন্ত ধোঁয়া ও ছাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে।
ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি ও ভূতাত্ত্বিক বিপর্যয় প্রশমন কেন্দ্র (পিভিএমবিজি) জনসাধারণকে সতর্ক করে জানায়, সেমেরুর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বেসুক কোবোকান এলাকার ভেতরে চূড়া থেকে ১৩ কিলোমিটার (৮ মাইল) এলাকাজুড়ে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি, আগ্নেয়শিলার খণ্ড উড়ে আসার ঝুঁকি থাকায় মূল ক্রেটার থেকে পাঁচ কিলোমিটার (৩.১১ মাইল) ব্যাসার্ধের ভেতর প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যায়, অগ্ন্যুৎপাতের ধোঁয়া–ছাইয়ের স্তম্ভ বিভিন্ন সময়ে ৫০০ মিটার (১,৬৪০ ফুট) থেকে এক হাজার ২০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত ওঠে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৬৭৬ মিটার (১২,০৬০ ফুট) উঁচু সেমেরু ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি, যার অগ্ন্যুৎপাত অতীতে বহু মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অগ্নি বলয় বা ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলের ওপর অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় ১২০টিরও বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ফলে দেশটি ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকির মধ্যে থাকে সবসময়।
সূত্র: আনাদোলু
এ জাতীয় আরো খবর..