×

  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-১২-২১, সময় - ১১:১৩:৫৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটকে কেন্দ্র করে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক রাখতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ও গণভোট সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের নির্বিঘ্ন কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি এবং নির্বাচনি অবকাঠামো সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী ও সংস্থাকে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অ্যাপ ব্যবহার করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মাধ্যমে কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, সহিংসতা ও হামলার মতো ঘটনার তথ্য, ছবি, ভিডিওসহ আনুষঙ্গিক বর্ণনা তাৎক্ষণিক জানতে পারবে ইসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে অনুযায়ী কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে নির্দেশনাও দেওয়া যাবে অ্যাপের মাধ্যমে। ইতোমধ্যে অ্যাপ তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কী থাকছে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং অ্যাপে

ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে ৭২ ঘণ্টার জন্য ব্যবহার হবে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং অ্যাপ। নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা এ অ্যাপে বাংলাদেশের তিনশ আসনের মানচিত্র চিহ্নিত করা থাকবে। অ্যাপে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ও ইসির কর্মকর্তারা লগইন করে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে এ অ্যাপের মাধ্যমে ওই ঘটনার ছবি, ভিডিও, তথ্য বা ভয়েস রেকর্ড পাঠাতে পারবেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। ওই তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আসনভিত্তিক মনিটরিং সেলের কাছে চলে যাবে। তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন। যদি তারা ব্যবস্থা নিতে না পারেন বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন ওই তথ্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চলে যাবে। তিনি সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যর্থ হলে তা সরাসরি ইসির কাছে চলে যাবে। ইসির ওই কেন্দ্রের বা আসনের ভোটগ্রহণ বন্ধসহ অন্য যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে।

আরও জানা যায়, এ অ্যাপের কেন্দ্রীয় অ্যাডমিন হবে ইসির মনোনীত কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল। ইসি সারা দেশের ভোটগ্রহণের সময় সব ঘটনার বর্ণনা ও পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিকভাবে দেখতে পারবে। তবে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ আওতাধীন এলাকার তথ্য জানাতে পারবেন। অন্য এলাকার তথ্যও জানতে বা দেখতে পারবে না।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটি রয়েছে। ভোটগ্রহণ সামনে রেখে ৮২ সদস্যের একটি মনিটরিং সেল গঠন প্রক্রিয়াধীন আছে। ওই সেলে সব বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। অ্যাপে আসা তথ্য অনুযায়ী নিজ নিজ বাহিনীকে নির্দেশনা দিতে পারবেন মনিটরিং সেলের সদস্যরা।

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার পর বড় ধরনের অঘটন এখনো ঘটেনি। এর কারণ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা।’ 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অনেক ধরনের শঙ্কা থাকে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ করতে যা যা করার, সেসব নির্দেশনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়েছি।’

ভোটে অ্যাপ ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতি সম্পর্কে দ্রুত তথ্য পাওয়া এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য এই অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...