ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমদ ওহিদি বলেছেন, ১২ দিনের যুদ্ধে পরাজয়কে ঢাকতে হুমকি, প্রচারণা ও রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করছে ইসরায়েল। আল-মায়াদিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া তিনি জানান, বাস্তবতা আড়াল করতে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে দখলদার বাহিনী।
আহমদ বাহিদি বলেন, ইসরায়েল এমন একটি ছবি তুলে ধরতে চাইছে, যা বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মোটেই মিলছে না। তিনি বলেন, ইসরায়েল গুরুতর অভ্যন্তরীণ ও কৌশলগত সংকটে রয়েছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে মুখোমুখি সংঘাতে তাদের কোনো লক্ষ্যই পূরণ করতে পারেনি।
ইসরায়েলি নেতৃত্বের বক্তব্য, হুমকি ও প্রচারণা ব্যর্থ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে ইসরায়েল এবং বাঁচার জন্য মরিয়াভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে, অন্যদিকে ইরান নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং ইরানের বিরুদ্ধে চলমান হুমকির প্রসঙ্গে বাহিদি বলেন, এসবই মূলত তৎপরতা ঢাকতে চালানো মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।
চলতি বছরের ১৩ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা চলাকালেই ইসরায়েল আকস্মিকভাবে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চালায়। ওই আগ্রাসনের পর ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানে অন্তত ১ হাজার ৬৪ জন প্রাণ হারান, যাদের মধ্যে ছিলেন সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ বেসামরিক মানুষ।
এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি অংশ নেয় এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে তারা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করে। এর জবাবে ইরানি সেনাবাহিনী দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কৌশলগত স্থাপনায় হামলা চালায় এবং কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিসহ মার্কিন সামরিক স্থাপনায় আঘাত করে।
পরবর্তীতে ২৪ জুন ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সফল পাল্টা অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে হামলা থামাতে বাধ্য করে তেহরান। ইরানের এই প্রতিরোধক সফলতার মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
সূত্র: মেহের
এ জাতীয় আরো খবর..