×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৪-১২-২২, সময় - ০৯:৩১:৩২ধান, গম, আলু, ভুট্টা ও নানা রকম সবজি চাষের পাশাপাশি দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ফল বাগান করেও সফল হচ্ছেন মেহেরপুরের কৃষকরা। ফলের মধ্যে রয়েছে, চায়না কমলা, মাল্টা ও ড্রাগন ফল। ফল বাগান করে লাভবান হওয়ায় সবজি চাষের পাশাপাশি অনেকেই এখন ঝুঁকছেন বিদেশি বিভিন্ন ফলের বাগান করতে।
মেহেরপুর জেলায় বিভিন্ন চায়না কমলা, মাল্টা বাগান ঘুরে জানা গেছে, বাগান মালিকদের সফলতার গল্প। বাগানের প্রতিটি গাছের থোকায় থোকায় ঝুলে আছে কমলা। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে শোভা দিচ্ছে হলুদ ও সবুজ রংয়ের কমলা। কমলার ভারে নুইয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। বাতাসে ছড়াচ্ছে কমলার সুস্বাদু ঘ্রাণ। বাগান দেখতে ও কমলা কিনতে বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন ক্রেতারা।
মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের বাগান মালিক হাফিজুর রহমান বলেন, ২০২০ সালে চারা রোপণ করি। ২০২৩ সালে প্রথম ফল আসে গাছে। এ বছর প্রচুর ফল হয়েছে। আশা করি ২০ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করতে পারব।
গাংনী উপজেলা কসবা গ্রামের নুরুজ্জামান রুবেল নামের এক যুবক প্রথমে দশ কাঠা জমিতে কমলা ও মাল্টা বাগান করেন। গাছে ভালো ফলন ও লাভজনক হওয়ায় পরে সাড়ে সাত বিঘা জমিতে কমলা ও আড়াই বিঘা জমিতে মাল্টা বাগান করেছেন। চারা রোপণের প্রায় চার বছরের মাথায় দেড় বিঘা জমির মাল্টা তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। দুই বছরের মাথায় অল্প ফল ধরলেও এ বছর পুরোপুরি সফলতা আসে। বর্তমানে যে পরিমাণ কমলা আছে তা প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে আশাবাদী এই তরুণ। তার বাগানে রয়েছে চায়না, দার্জিলিং ও মেন্ডারিং জাতের কমলা ও মাল্টা এবং পেয়ারা।
বাগান দেখতে আসা সজিব বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আবহাওয়া অনুকূল না হওয়ায় সাধারণত চায়না কমলার ফলন ভালো হয় না। কিন্তু আমাদের সে ধারণা পাল্টে দিয়েছে রুবেল ভাই। বাগানে প্রতিটি গাছে কমলার ফলন দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি।
কসবা এলাকার মনিরুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুরের মাটিতে কমলা হচ্ছে এটা অবাক করার মতো। নিজ দেশে নিজ হাতে কমলা ছিড়ে খাওয়া স্বপ্নের মতো।
