×
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত : তারিখ - ২০২৫-১০-২০, সময় - ১৩:১৬:৪০ইয়ারবাড এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। যাত্রাপথে গান শোনা, জিমে ব্যায়াম করা, অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নেওয়া কিংবা শুয়ে শুয়ে প্রিয় সিরিজ দেখা—সবকিছুতেই ইয়ারবাডের ব্যবহার অনস্বীকার্য। তবে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে এতে ঘাম, কানের ময়লা, ধুলা ও তেল জমে যায়, যা শব্দের মান কমিয়ে দেয়, ব্যাটারির কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলে এবং কানে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
নিয়মিত পরিষ্কার করলে ইয়ারবাডের শব্দ মান বজায় থাকে, ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ে এবং কানের স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত থাকে। ভালো খবর হলো, ইয়ারবাড পরিষ্কার করতে কোনো দামি কিটের প্রয়োজন নেই—ঘরে থাকা সাধারণ উপকরণ দিয়েই এটি সহজে করা যায়।
যেসব ইয়ারবাডে আলাদা সিলিকন বা ফোম টিপ থাকে, সেগুলো আলতোভাবে খুলে নিতে হবে। এরপর গরম পানিতে অল্প সাবান মিশিয়ে টিপগুলো ১৫–২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে জমে থাকা ময়লা সহজে ছাড়ে। আঙুল বা কটন বাড দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে ভালোভাবে ধুয়ে নরম কাপড় দিয়ে শুকাতে হবে। ফোম টিপের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে—এগুলো বেশি সময় পানিতে ভিজিয়ে রাখা যাবে না, কারণ ফোম সহজেই পানি শুষে নেয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ইয়ারবাডের শব্দ কম শোনার অন্যতম কারণ হলো মেশ স্ক্রিনে ময়লা জমে থাকা। স্ক্রিনটি উল্টো করে ধরে নরম ব্রাশ দিয়ে আলতোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। যদি শক্ত ময়লা জমে থাকে, তাহলে কটন বাডে সামান্য পরিমাণে অ্যালকোহল বা ইলেকট্রনিক ক্লিনার লাগিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে। তবে খুব বেশি চাপ দিয়ে ঘষা যাবে না, কারণ এতে ময়লা ভেতরে ঢুকে যেতে পারে এবং স্পিকারের ক্ষতি হতে পারে।
ইয়ারবাডের বাইরের অংশে ঘাম, ত্বকের তেল, পকেটের ধুলা বা অন্যান্য ময়লা জমে থাকে। এগুলো পরিষ্কার করতে মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। জীবাণুমুক্ত করতে চাইলে কাপড় বা কটন বাডে অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল বা ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কোনো তরল যেন ইয়ারবাডের ভেতরে প্রবেশ না করে, কারণ এতে সার্কিট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ইয়ারবাডের চার্জিং কেসও নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি। প্রথমে শুকনা কাপড় দিয়ে কেসের বাইরের ও ভেতরের অংশ মুছে নিতে হবে। চার্জিং পিন বা কোনাগুলো পরিষ্কার করতে কটন বাড ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি ময়লা জমে থাকে, তাহলে সামান্য পরিমাণে ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে। পরিষ্কারের পর কেসটি ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে, তারপরই ইয়ারবাড ভেতরে রাখা উচিত।
অনেক সময় ইয়ারবাডের সঙ্গে কাপড়ের পাউচ বা কভার দেওয়া থাকে, যা বহন ও সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পাউচ বা কভারও পরিষ্কার রাখা জরুরি। গরম পানিতে সামান্য সাবান মিশিয়ে কয়েক মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার করলে ধুলা-ময়লা জমবে না এবং ইয়ারবাডও নিরাপদ থাকবে।
ইয়ারবাড শুধু একটি প্রযুক্তি নয়, এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। নিয়মিত পরিষ্কার ও যত্নের মাধ্যমে এর কার্যক্ষমতা ও স্থায়িত্ব বাড়ানো যায়, পাশাপাশি কানের স্বাস্থ্যও রক্ষা করা যায়। তাই সময় বের করে সপ্তাহে অন্তত একবার ইয়ারবাড পরিষ্কার করুন—শব্দ থাকবে ঝকঝকে, অভিজ্ঞতা হবে নিখুঁত।
