×


  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশ :- ২০২৫-১২-২৪, | ১৯:৪২:১৫ |
শীত পড়লেই বাঙালির রান্নাঘরে ফিরে আসে চেনা এক স্বাদ হাঁসের মাংস। কচি পুঁইশাক, লাউ কিংবা সরিষার ঝোলের সঙ্গে হাঁসের মাংস মানেই যেন শীতের পরিপূর্ণতা। স্বাদ আর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই মাংস অনেকের কাছে প্রিয় হলেও, সবার জন্য কিন্তু এটি নিরাপদ নয়। বেশি ফ্যাট ও ক্যালরিসমৃদ্ধ হওয়ায় নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক সমস্যায় হাঁসের মাংস ডেকে আনতে পারে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি। তাই শীতের আনন্দ উপভোগের আগে জেনে নেয়া জরুরি কারা হাঁসের মাংস খাবেন না এবং কেন সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে চ্যানেল 24 অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেন রাজধানী ঢাকার লাইফ কেয়ার মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড বিডিএন পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের ডায়েটিশিয়ান ইসরাত জাহান ডরিন।


হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ

হাঁসের মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে, যা রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। এর ফলে ধমনিতে চর্বি জমা, হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যাদের হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদ্‌যন্ত্রজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের হাঁসের মাংস এড়িয়ে চলা উচিত।



উচ্চ কোলেস্টেরল
যাদের রক্তে কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি, তাদের ক্ষেত্রে হাঁসের মাংস খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। হাঁসের চর্বি দীর্ঘমেয়াদে এথেরোস্ক্লেরোসিস বা ধমনির সংকোচনের কারণ হতে পারে।

লিভারের সমস্যা

ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস বা অন্যান্য লিভারজনিত সমস্যায় অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার লিভারের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। হাঁসের মাংসের উচ্চ ফ্যাট লিভারের বিপাকীয় কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগী

অতিরিক্ত ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে হাঁসের মাংস নিয়মিত বা বেশি পরিমাণে খাওয়া রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

 ওজন কমানোর ডায়েট

হাঁসের মাংস উচ্চ ক্যালরি ও ফ্যাটসমৃদ্ধ হওয়ায় ওজন কমানোর ডায়েটে এটি অন্তর্ভুক্ত করলে ক্যালরি ব্যালান্স নষ্ট হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিদের জন্য হাঁসের মাংস উপযোগী নয়।

গ্যাস্ট্রিক ও অ্যাসিডিটির সমস্যা

অতিরিক্ত তেল ও ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক, বুকজ্বালা ও অ্যাসিড রিফ্লাক্স বাড়াতে পারে। হাঁসের মাংস সঠিকভাবে রান্না না হলে তা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

পুষ্টিবিদের সতর্কবার্তা

হাঁসের মাংস রান্নার আগে দৃশ্যমান অতিরিক্ত চর্বি ফেলে দেয়া উচিত। তেলে ভাজা বা ডিপ ফ্রাই না করে সেদ্ধ, গ্রিল বা হালকা মসলায় রান্না করা স্বাস্থ্যসম্মত। সুস্থ ব্যক্তিরা সপ্তাহে একবার সীমিত পরিমাণে হাঁসের মাংস খেতে পারেন। তবে যাদের দীর্ঘমেয়াদি রোগ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হাঁসের মাংস খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদ এর পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...