×


  • নিউজ ডেস্ক

    প্রকাশ :- ২০২৫-১২-২৪, | ১৭:২৯:২৩ |
রমজানের মতো রজব মাসকেও বিশেষ ফজিলতের মাস মনে করেন অনেকে এই সময়ে ওমরা আদায় করতে আগ্রহী হন। ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে রজব মাসে ওমরাহ করা বৈধ, তবে রজব মাসে ওমরাহ করা কোনোভাবেই বিশেষ ফজিলতপূর্ণ নয়। কোরআন-হাদিসে এমন কোনো সহিহ দলিল নেই, যা প্রমাণ করে যে রজব মাসে ওমরাহ করলে অন্য সময়ের তুলনায় বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

ওমরার সওয়াব নির্ভর করে মূলত নিয়ত ও আন্তরিকতার ওপর। সময়ের তারতম্যের কারণে সওয়াব কমবেশি হয়, এমন ধারণার পক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই।

সম্মানিত চার মাস 

আল্লাহ তায়ালা কোরআনে ঘোষণা করেছেন, বছরে মোট ১২টি মাস রয়েছে, যার মধ্যে চারটি মাস বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ । সুরা তাওবার ৩৬ নম্বর আয়াতে এই চার মাসে নিজেদের প্রতি জুলুম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই চার মাসের নাম স্পষ্ট করে বলেছেন। সেগুলো হলো, জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। এর মধ্যে রজব মাসটি জুমাদাল উখরা ও শাবানের মাঝামাঝি অবস্থান করছে।

তবে সম্মানিত মাস হওয়ার অর্থ এই নয় যে, এই মাসে সব ইবাদতের জন্য বিশেষ সওয়াব নির্ধারিত।

রজবে ওমরাহ সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনা

রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাসে ওমরা করেছেন এমন কোনো সহিহ বর্ণনা পাওয়া যায় না। ইবনে ওমর (রা.) থেকে একটি বর্ণনায় এমন কথা উল্লেখ থাকলেও হজরত আয়েশা (রা.) তা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন।

এক বর্ণনায় এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ কখনোই রজব মাসে ওমরাহ আদায় করেননি। তিনি যতবার ওমরাহ করেছেন, সবগুলোতেই আমি তার সঙ্গে ছিলাম।

এই বক্তব্যের পর ইবনে ওমর (রা.) নীরব থাকেন, যা থেকে আলেমরা বুঝেছেন, রজবে ওমরাহর বিশেষ ফজিলতের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।

রমজানের সঙ্গে তুলনা কি সঠিক?

হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রমজান মাসে ওমরাহ আদায় করলে তা সওয়াবের দিক থেকে হজের সমতুল্য। এই ফজিলত শুধু রমজানের জন্য নির্ধারিত। রজব মাসের ক্ষেত্রে এমন কোনো ঘোষণা দেননি রাসুলুল্লাহ (সা.)।

ইসলামে কোনো নির্দিষ্ট সময়কে ইবাদতের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারণ করা যায় না। শুধু শরিয়ত যেসব সময়কে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত সওয়াবের কথা বলা যায়।

তাহলে রজবে ওমরাহ করা যাবে কি?

আলেমদের মতে, বছরের অন্যান্য সময়ের মতো রজব মাসেও ওমরাহ করা সম্পূর্ণ বৈধ। তবে শুধু রজব মাস বলেই ওমরাহ করতে হবে বা এতে আলাদা সওয়াব পাওয়া যাবে, এমন বিশ্বাস রাখা ঠিক নয়।

ওমরা একটি ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। নিয়ত খাঁটি হলে বছরের যেকোনো সময় আল্লাহর কাছে ওমরাহ গ্রহণযোগ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন



এ জাতীয় আরো খবর..
ইউটিউবে আমরা...
ফেসবুকে আমরা...